পারমাণবিক ইস্যুতে যুক্তরাষ্ট্র ও ইরান একের পর এক পরোক্ষ বৈঠকে বসছে। বৈঠকের পর দুই পক্ষ থেকেই আসছে ইতিবাচক সুর। ইরানের যুক্তিসঙ্গত অবস্থানের প্রশংসা করেছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। তবে তার এমন মন্তব্যের কয়েক ঘণ্টা যেতে না যেতেই তেহরানের সামরিক গবেষণাকেন্দ্র ও সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের ওপর নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে যুক্তরাষ্ট্র।
সোমবার (১২ মে) হোয়াইট হাউসে এক সংবাদ সম্মেলনে ট্রাম্প বলেন, ‘দেখা যাক, আমরা ইরান ইস্যুতে কী করতে পারি। আলোচনার ফল ইতিবাচক হবে বলেই মনে হচ্ছে। তবে কেউ পারমাণবিক অস্ত্র রাখতে পারবে না। তবুও এখন পর্যন্ত আলোচনায় তেহরান যথেষ্ট যুক্তিসঙ্গত ও বুদ্ধিমত্তার পরিচয় দিয়েছে।’
ট্রাম্পের এমন মন্তব্যে সমঝোতার সম্ভাবনা জোরালো হলেও কয়েক ঘণ্টা পরই ভিন্ন বার্তা দেয় যুক্তরাষ্ট্র। নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয় ইরানের সামরিক অস্ত্র গবেষণাগার ও সংশ্লিষ্ট তিন কর্মকর্তার ওপর। এই নিষেধাজ্ঞার ফলে যুক্তরাষ্ট্রে প্রবেশ করতে পারবেন না তারা, কোনো মার্কিন প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে আর্থিক লেনদেনেও জড়াতে পারবেন না।
এ নিয়ে ইরান সরাসরি কোনো মন্তব্য না করলেও ইউরোপীয় দেশগুলোকে হুঁশিয়ারি দিয়েছেন দেশটির পররাষ্ট্রমন্ত্রী আব্বাস আরাঘচি। ফরাসি একটি ম্যাগাজিনকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে তিনি বলেন, ‘ফ্রান্স, ব্রিটেন ও জার্মানি যদি জাতিসংঘের নিষেধাজ্ঞা ফিরিয়ে আনার ‘স্ন্যাপব্যাক’ প্রক্রিয়া চালু করে, তাহলে উত্তেজনা এমন পর্যায়ে পৌঁছাবে যা আর ফিরিয়ে নেওয়া যাবে না।’
এদিকে ইরানের সর্বোচ্চ ধর্মীয় নেতা আয়াতুল্লাহ আলি খামেনির বিরুদ্ধে ডোনাল্ড ট্রাম্পকে হত্যাচেষ্টার অভিযোগ এনেছেন মার্কিন সিনেটর টেড ক্রুজ ও টম কটন।
টেড ক্রুজ বলেন, ‘খামেনি এখনও ট্রাম্পকে হত্যার জন্য খুনি ভাড়া করছেন।’
অন্যদিকে টম কটন জানান, ‘আয়াতুল্লাহরা ট্রাম্পকে ভয় পান বলেই তাকে হত্যার চেষ্টা করেছে। ইরান কখনও পারমাণবিক অস্ত্র অর্জন করতে পারবে না, এটাই হওয়া উচিত যুক্তরাষ্ট্রের দৃঢ় অবস্থান।’